বিবরণ:-বাবর ১৫২৬ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে জিতেছিলেন এবং শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দে বার্মায় নিবাসন দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং মাঝখানে সময়টা ছিল প্রায় ৩৩২ বছর তবে বাবরের পর প্রায় ১৫ বছর সময়কালে শের সাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সুরী রাজবংশের নেতৃত্বে ভারতের শাসন পরিচালিত হয়েছিল। সুতরাং মুঘলদের শাসন সর্বমোট প্রায় ৩১৭ বছর অথবা মোটামুটি ভাবে প্রায় ৩০০ বছর।

বিবরণ:-মেবারের রাজা উদয় সিং আকবরের প্রতি আনুগত্য দেখাননি। সুতরাং মুঘলরা ১৫৬৭ খ্রীষ্টাব্দে মেবার আক্রমন করেছিলেন। মেবারের রাজধানী চিতোর ১৫৬৮ খ্রীষ্টাব্দে মুঘল শাসনের অধীনে এল কিন্তু এই সময়ে উদয় সিং মারা যান এবং তার পুত্র রাণা প্রতাপ সিং মঘলদের বিরূদ্ধে এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকেন। এই অবস্থায় ১৫৭৬ খ্রীষ্টাব্দে হলদিঘাটের যুদ্ধ হয়েছিল এবং রাণা প্রতাপ সিং হেরে গিয়ে বনে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরবর্তী সময়ে রাণা প্রতাপ তার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫৯৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত মেবারের অনেক এলাকা পুনরায় জয় করেন। সুতরাং রাণা প্রতাপ ভারতের ইতিহাসে প্রচন্ড প্রতিরোধ করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতীক হয়ে রয়েছেন। রাণা প্রতাপের প্রিয় ঘোড়ার নাম ছিল “চৈতক”।

বিবরণ:-আকবর ১৫৫৬ খ্রীষ্টাব্দে ক্ষমতায় আসেন এবং মৃত্যুর বছর ১৬০৫ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন। প্রায় ৫০ বছর তিনি রাজত্ব করেন।

বিবরণ:-আকবর ১৫৪২ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৫৫৬ খ্রীষ্টাব্দে সম্রাট বলে ঘোষিত হন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি তার অভিভাবক বৈরাম খানের কার্যকলাপে অসুন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ১৫৬০ খ্রীষ্টাব্দে বৈরাম খানকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। এই অবস্থায় বৈরাম খান বিদ্রোহী হয়েছিলেন কিন্তু ১৫৬০ খ্রীষ্টাব্দে মক্কা যাবার পথে তিনি নিহত হয় । পরবর্তী বছরগুলিতে আকবর তার পালিকা মাতা মহোম আনাগার তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং তিনি ১৫৬৪ খ্রীষ্টাব্দে ২২ বছর বয়সে প্রকৃত শাসক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন।

বিবরণ:-আইন-ই-আকবরী, আকবর নামা, প্রভৃতি বইগুলি তিনি পারসী বা ফারসী ভাষায় লিখেছিলেন। মুঘল আমলে ভারতের রাজসভার ভাষা ছিল ফারসী। যদিও মুঘলগন তুর্কি ছিলেন কিন্তু রাজসভার আধিকারিকগন ছিলেন প্রধানতঃ পারস্য জাতির ফারসী ভাষার।

বিবরণ:-শাহজাহান ১৬২৭ খ্রীষ্টাব্দে ক্ষমতায় আসেন এবং ১৬৫৮ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। সুতরাং তিনি প্রায় ৩০ বছর রাজত্ব করেন।

বিবরণ:-শের শাহের উত্থানের পর হুমায়ুন ১৫৪০ খ্রীষ্টাব্দে দিল্লী ছেড়ে পারস্যে চলে যান। তবে ১৫৪৫ খ্রীষ্টাব্দে শের শাহ মারা যান এবং শের শাহের পুত্র ইসলাম শাহ ১৫৫৩ খ্রষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন। কিন্তু তিনি অদক্ষ ছিলেন। এই অবস্থায় পারস্যের রাজা তাহামাস্পের শক্তিশালী সমর্থন পেয়ে হুমায়ুন দ্বারা পরিচালিত মুঘল শক্তি ১৫৫৫ খ্রীষ্টাব্দে আবার দিল্লী ও আগ্রায় ক্ষমতা দখল করেন।

বিবরণ:-কাবুলের শাসক বাবর, ইব্রাহীম লোদীর বিরূদ্ধে ১৫২৬ খ্রীষ্টাব্দে পাণিপথের প্রথম যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি ১৫২৭ খ্রীষ্টাব্দে খানুয়ার যুদ্ধে রাণা সংগ্রাম সিংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি ১৫২৯ খ্রীষ্টাব্দে পাটনার কাছে ঘর্ঘরা নামক জায়গায় কতিপয় আফগান রাজ্যের শক্তির বিরূদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। এই সমস্ত যুদ্ধে বাবর শক্তিশালী কামান ব্যবহার করার জন্য জিতেছিলেন। বাবর হঠাৎ ১৫৩০ খ্রীষ্টাব্দে মারা যাওয়ায় তার জয় করা অঞ্চলে প্রশাসন ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত করতে পারেননি। তার এই সময়ের মধ্যে বাবর তার রাজধানী কাবুল থেকে দিল্লিীতে স্থানান্তরিত করেছিলেন।